

শ্রেণি ও লিঙ্গ ভিত্তিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা
শ্রেণি | বালক | বালিকা | মোট |
---|---|---|---|
প্লে | ০৮ জন | ০৮ জন | ১৬ জন |
নার্সারি | ০৯ জন | ০৬ জন | ১৫ জন |
প্রথম | ০৮ জন | ০৯ জন | ১৭ জন |
দ্বিতীয় | ১০ জন | ১৫ জন | ২৫ জন |
তৃতীয় | ১৫ জন | ২০ জন | ৩৫ জন |
চতুর্থ | ১৪ জন | ২০ জন | ৩৪ জন |
পঞ্চম | ২৫ জন | ৩৩ জন | ৫৮ জন |
ষষ্ঠ | ১৭ জন | ২৮ জন | ৪৫ জন |
সপ্তম | ১৬ জন | ২৯ জন | ৪৫ জন |
অষ্টম | ২১ জন | ২৯ জন | ৫০ জন |
দশম | ২০ জন | ২৮ জন | ৪৮ জন |


আমার বিদ্যালয়: একটি সফলতার গল্প
✏️ছাত্রছাত্রী বিভাগের ব্লগ
বিদ্যালয় মানেই কেবল পড়ালেখার একটি স্থান নয়, এটি একটি অনুভূতির নাম, একটি স্বপ্ন গড়ার জায়গা, যেখানে প্রতিটি শিশু নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রথম পদক্ষেপ রাখে। আমার প্রিয় জনতাবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান—যা শুধুমাত্র শিক্ষার আলো ছড়ায় না, বরং মূল্যবোধ, মানবিকতা এবং সাফল্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করে চলেছে।
🎓 শিক্ষা এবং শৃঙ্খলার বন্ধন
আমাদের বিদ্যালয়ের মূল শক্তি হল এর সুসংগঠিত ও নিয়মানুবর্তিতাপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি। প্রতিটি শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষকরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পাঠদান করে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ছাড়াও আমাদের বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, রচনা ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
🧑🏫 গুণী শিক্ষকবৃন্দ
আমাদের বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলেন আমাদের শিক্ষকবৃন্দ। তাঁরা শুধু পাঠ্যবইয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নন—তাঁরা আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক। যেকোনো সমস্যায় আমরা তাঁদের পাশে পাই। তাঁরা ধৈর্য্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের শেখান, আমাদের ভুল শুধরান এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে তোলেন।
🏆 ছাত্রছাত্রীদের অর্জন
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শুধু লেখাপড়ায় নয়, বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতি বছর আমাদের স্কুল থেকে বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করে।
🌱 সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম
শুধু পাঠ্যবই নয়, আমাদের বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে একটি সুন্দর লাইব্রেরি রয়েছে যেখানে অসংখ্য বই আছে—গল্প, উপন্যাস, জীবনী, বিজ্ঞান ও ইতিহাসভিত্তিক বই। এছাড়াও আমরা প্রতিবছর একটি ‘বইমেলা’ আয়োজন করি যেখানে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই বই নিয়ে আলোচনা করে।
আমাদের সাংস্কৃতিক দল প্রতি বছর বিদ্যালয় দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে নানা নাটক, গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করে থাকে। এটি আমাদের সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করে।
⚽ ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য
আমাদের বিদ্যালয় ক্রীড়াক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই। ফুটবল, ক্রিকেট, দৌড়, লং জাম্পসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় আমাদের ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে থাকে এবং অনেক সময় পুরস্কারও অর্জন করে।
💡 প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে ডিজিটাল শিক্ষার যুগে আমাদের বিদ্যালয় প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছে। স্মার্ট ক্লাসরুম, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, এবং অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান অনেক সহজ ও কার্যকর হয়ে উঠেছে। করোনা মহামারির সময়েও আমাদের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে গেছেন, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে।
🌸 সামাজিক কার্যক্রম
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সমাজসেবামূলক কাজেও অংশগ্রহণ করে। প্রতি বছর শীতকালে আমরা দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি, এবং ‘পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয়, সুন্দর জীবন’ নামে একটি প্রকল্প চালাই, যার মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করি।
📈 আমাদের স্বপ্ন
আমাদের বিদ্যালয় শুধু বর্তমানের নয়, ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুত। আমাদের স্বপ্ন, এই বিদ্যালয় থেকে এমনসব শিক্ষার্থী বের হবে যারা শুধু ভালো রেজাল্টই করবে না, বরং একেকজন হবে সৎ, পরিশ্রমী এবং দায়িত্ববান নাগরিক।
আমরা চাই—আমাদের বিদ্যালয় যেন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, যেখান থেকে বের হওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী হবে দেশের গর্ব। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই স্বপ্ন খুব দূরে নয়।