

প্রধান শিক্ষিকার বাণী
“সঠিক শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদণ্ড। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মানবিক মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা ও প্রযুক্তি জ্ঞান দ্বারা গড়ে তোলা, যেন তারা আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে—এই আমাদের অঙ্গীকার।”
আমেনা আক্তার– প্রধান শিক্ষিকা
বিদ্যালয়ের পরিচিতি
ঢাকার কদমতলী থানাধীন দনিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জনতাবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এটি একটি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে সাধারণ শাখা পরিচালিত হয়।
বিদ্যালয়টি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে পরিচালিত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের জ্ঞান অর্জনই করে না, বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, নৈতিকতা, ও সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা লাভ করে একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
🏗️ অবকাঠামো ও পরিবেশ
বিদ্যালয়টি বর্তমানে একটি ৪-তলা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরি রয়েছে। একটি টিনশেড ভবনও বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে সহায়তা করে।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্ন টয়লেট, এবং একটি খেলার মাঠ বিদ্যালয়ের পরিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

📘 একাডেমিক অনুমোদন ও স্বীকৃতি
বিদ্যালয়টি ১/১/১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে পাঠদানের অনুমতি এবং ১/১/২০০২ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি ১/৫/২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে এমপিও ভূক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর অধিভুক্ত।
👥 পরিচালনা পর্ষদ ও প্রশাসন
বিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন:
মোঃ নুরুল ইসলাম – সভাপতি
মোঃ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী – অভিভাবক প্রতিনিধি
আক্তার হোসেন – শিক্ষক প্রতিনিধি
আমেনা আক্তার – প্রধান শিক্ষক, সচিব

🏆 কৃতিত্ব ও সাফল্য
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় পাবলিক পরীক্ষায় চমৎকার ফলাফল অর্জন করেছে। শুধু শিক্ষা নয়, খেলাধুলা, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করেছে।
🌟 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে আরও আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, ডিজিটাল ক্লাসরুম, বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার এবং অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও স্কলারশিপ কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা হবে।


এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের তালিকা
ক্রমিক নং | শিক্ষকের নাম | পদবী | বিষয় |
---|---|---|---|
১ | আমেনা আক্তার | প্রধান শিক্ষক | – |
২ | মোঃ আব্দুল আজিজ খান | সহকারী শিক্ষক | ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা |
৩ | সাবিনা বেগম | সহকারী শিক্ষক | বাংলা |
৪ | আজমেরী সুলতানা | সহকারী শিক্ষক | গার্হস্থ্য বিজ্ঞান |
৫ | হোসনে আরা | সহকারী শিক্ষক | শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য |
৬ | মোঃ আক্তার হোসেন | সহকারী শিক্ষক | ইংরেজি |
৭ | মোঃ শামীম হোসেন | সহকারী শিক্ষক | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
৮ | শেখ মকছুদুল হক | সহকারী শিক্ষক | গণিত |
৯ | সুশীল চন্দ্র শিকদার | সহকারী শিক্ষক | হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা |
১০ | মোহাম্মদ আবুল কালাম | সহকারী শিক্ষক | গণিত |
১১ | মোঃ ফারুক আলম | সহকারী শিক্ষক | হিসাব বিজ্ঞান |
১২ | মোঃ বসির উদ্দিন | সহকারী শিক্ষক | লাইব্রেরি সায়েন্স |
খণ্ডকালীন শিক্ষকদের তালিকা
ক্রমিক নং | শিক্ষকদের নাম | পদবী |
---|---|---|
১. | আশরাফুন নাহার | সহকারী শিক্ষক |
২. | খাদিজা আক্তার | সহকারী শিক্ষক |
৩. | সামছুন নাহার ইলমা | সহকারী শিক্ষক |
৪. | নাসরিন আহমেদ | সহকারী শিক্ষক |
৫. | তানজিলা আক্তার | সহকারী শিক্ষক |
৬. | মেহেরুন নেছা | সহকারী শিক্ষক |
৭. | শরিফুল ইসলাম | সহকারী শিক্ষক |
৮. | শাহানা আক্তার | সহকারী শিক্ষক |
৯. | শিউলি খাতুন | সহকারী শিক্ষক |
১০. | তাওসিফ হোসাইন | ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট |
১১. | হাসনাতুল বারী | ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট |
১২. | আব্দুল করিম | নৈশ প্রহরী |


আমার বিদ্যালয়: একটি সফলতার গল্প
✏️ছাত্রছাত্রী বিভাগের ব্লগ
বিদ্যালয় মানেই কেবল পড়ালেখার একটি স্থান নয়, এটি একটি অনুভূতির নাম, একটি স্বপ্ন গড়ার জায়গা, যেখানে প্রতিটি শিশু নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রথম পদক্ষেপ রাখে। আমার প্রিয় জনতাবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান—যা শুধুমাত্র শিক্ষার আলো ছড়ায় না, বরং মূল্যবোধ, মানবিকতা এবং সাফল্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করে চলেছে।
🎓 শিক্ষা এবং শৃঙ্খলার বন্ধন
আমাদের বিদ্যালয়ের মূল শক্তি হল এর সুসংগঠিত ও নিয়মানুবর্তিতাপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি। প্রতিটি শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষকরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পাঠদান করে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ছাড়াও আমাদের বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, রচনা ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
🧑🏫 গুণী শিক্ষকবৃন্দ
আমাদের বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলেন আমাদের শিক্ষকবৃন্দ। তাঁরা শুধু পাঠ্যবইয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নন—তাঁরা আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক। যেকোনো সমস্যায় আমরা তাঁদের পাশে পাই। তাঁরা ধৈর্য্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের শেখান, আমাদের ভুল শুধরান এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে তোলেন।
🏆 ছাত্রছাত্রীদের অর্জন
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শুধু লেখাপড়ায় নয়, বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতি বছর আমাদের স্কুল থেকে বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করে।
🌱 সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম
শুধু পাঠ্যবই নয়, আমাদের বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে একটি সুন্দর লাইব্রেরি রয়েছে যেখানে অসংখ্য বই আছে—গল্প, উপন্যাস, জীবনী, বিজ্ঞান ও ইতিহাসভিত্তিক বই। এছাড়াও আমরা প্রতিবছর একটি ‘বইমেলা’ আয়োজন করি যেখানে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই বই নিয়ে আলোচনা করে।
আমাদের সাংস্কৃতিক দল প্রতি বছর বিদ্যালয় দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে নানা নাটক, গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করে থাকে। এটি আমাদের সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করে।
⚽ ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য
আমাদের বিদ্যালয় ক্রীড়াক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই। ফুটবল, ক্রিকেট, দৌড়, লং জাম্পসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় আমাদের ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে থাকে এবং অনেক সময় পুরস্কারও অর্জন করে।
💡 প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে ডিজিটাল শিক্ষার যুগে আমাদের বিদ্যালয় প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছে। স্মার্ট ক্লাসরুম, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, এবং অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান অনেক সহজ ও কার্যকর হয়ে উঠেছে। করোনা মহামারির সময়েও আমাদের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে গেছেন, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে।
🌸 সামাজিক কার্যক্রম
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সমাজসেবামূলক কাজেও অংশগ্রহণ করে। মাদক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, জঙ্গীবাদ বিরোধী , বৃক্ষরোপণ সহ জন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করি, এবং ‘পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয়, সুন্দর জীবন’ নামে একটি প্রকল্প চালাই, যার মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করি।
📈 আমাদের স্বপ্ন
আমাদের বিদ্যালয় শুধু বর্তমানের নয়, ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুত। আমাদের স্বপ্ন, এই বিদ্যালয় থেকে এমনসব শিক্ষার্থী বের হবে যারা শুধু ভালো রেজাল্টই করবে না, বরং একেকজন হবে সৎ, পরিশ্রমী এবং দায়িত্ববান নাগরিক।
আমরা চাই—আমাদের বিদ্যালয় যেন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, যেখান থেকে বের হওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী হবে দেশের গর্ব। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই স্বপ্ন খুব দূরে নয়।